The History of English
ইংরেজী সাহিত্যের ইতিহাস পর্ব :০১
খ্রিষ্টপূর্ব সাত হাজার বছর আগে ইউরোপের মুল ভুখন্ড থেকে নতুন এক জাতি ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যন্ডে এসে বসতি স্থাপন করে।এরা বর্বর গুহা মানব থেকে সভ্য ছিলো। শিকারের জন্য এরা পাথরের পরিবর্তে নানা রকম ধারালো অস্ত্র তৈরি করত।এ যুগের পর এলো ব্রোঞ্জ যুগ । ব্রোঞ্জের যুগ খ্রিষ্টপূর্ব দুই হাজার বছর পূর্বে শুরু হয়েছিল। ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী পূর্বাঞ্চলের একদল নাবিক সোনা তামা ও টিনের সন্ধানে ইংলিশ চ্যনেল পার হয়ে ইংল্যন্ডে এসে উপস্থিত হয় এবং তারাই প্রথম টিন ও তামা মিশিয়ে নানা ধরনের জিনিশ যেমন আংটি ,কানের দুল ,তলোয়ার ইত্যাদি উৎপাদন করতে আরাম্ভ করে । তারা নব্য প্রস্তর যুগের আদিম অধিবাসীকে পরাজিত করে ইংল্যন্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করে।গ্রীক ইতিহাসবিদ হেরাডোটাস ব্রিটিশ দ্বীপপূঞ্জকে টিনের দ্বীপপূঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে গেছেন।
একদিন এদের যুগও চলে গেল এলো লৌহ যুগ । ইংল্যন্ডের কেল্টগন লৌহ যুগের প্রবর্তন করেছিলেন বলে এই যুগকে কেল্টিক যুগ বলে। কেল্টরা ছিল অসম সাহসী এরা প্রথম ফ্রান্স ও পরে ইংল্যন্ড দখল করে । এরাই মূলত গল নামে পরিচিত । ইংল্যান্ড এ এই গলদের আধিপত্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি কারন এই গলদের ই আরেক শাখা সিমরন ও ব্রাইথন বা ব্রিটনগন ইউরোপে এসে গলদের পরাজিত করে ইংল্যান্ড অধিকার করে।পরবর্তীকালে এই ব্রিটনগনের নামানুসারে রোমকগন এই দেশের নাম রাখেন ব্রিটেন। যেহেতু ব্রিটনরা কেল্টিক জাতির অন্তর্গত ছিল তাই এদের ভাষাও ছিলো কেল্টিক ।এরা কুসংস্কারাছন্ন ছিলো যার দরুন জুলিয়াস সিজার এদের অন্ধ জাতি বলে অভিহিত করেছিলেন। স্কটল্যন্ড ,আয়ারল্যন্ড এবং ওয়েলসে এদের ভাষার নিদর্শন পাওয়া গেছে।
ওয়েসেক্স,মার্সিয়া এবং নদ্রাবিয়া। এদের প্রধান্ আঞ্চলিক ভাষা ছিল তিনটি। ( ওয়েসেয ,মার্সিয়া এবং নদ্রাবিয়ান উপভাষা )।
ওয়েসেক্স উপভাষা অন্যান্য উপভাষা গুলোর উপর প্রাধান্য বিস্তার করে এই ভাষার লেখ্যরুপ ছিল না।
সেক্সনরা যখন এদেশে এসেছিল তখন সঙ্গে এনেছিল কিছু কাব্য কবিতা । এসব কাব্য কবিতার মাঝে “বিউলফ “ ছিল অন্যতম । এই যুগকে ইংরেজী সাহিত্যের উষাকাল বলা যেতে পারে । এ যুগ একাদশ শতাব্দী পর্যন্ত বিরাজমান ছিল। ইংরেজী প্রাচীন শব্দগুলোর মধ্য একটা শব্দ প্রায়শই শোনা যায় সেটা হল “ফোক” । ফোক এর বাংলা শব্দ হল লোক। যেমন লোক নৃত্য,লোকসংগীত, লোককাব্য,এগুলো জনগনের দ্বারা সৃষ্ট। যদিও দীর্ঘকাল এগুলো মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে এক্ সময় এগুলুকে লিপিবদ্ধ করা হয় । যারা এগুলো লিখত তাদেরকে বলা হত মুনসী। “ বিউলফ “ কাব্যটি কোন এক অজ্ঞাত মুনসী দ্বারা দশম শতাব্দীতে সংকলিত হয়েছিল। লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে পান্ডলিপিটি সংরক্ষিত আছে।
বিউলফ কাহিনী মুলত জার্মান জাতির পূর্বপূরুষদের বীরত্বের কাহীনি এর সাথে ইংল্যন্ডের কোন্ সম্পর্ক নেই । পাতালপুরীর রাক্ষস গ্রেন্ডেল এর সঙ্গে বিউলফ এর সংগ্রাম হল এই অংশের মূল ঘটনা ।বিউলফ নায়ক চরিত্র। কোন সমালোচকের মতে গ্রীকদের যেমন একিলিস ,রোমান্দের যেমন রোমুলাস ফ্রান্সের যেমন চার্লিম্যাগনি তেমনি ইংরেজদের কাছে বিউলফ। ( এটা নিয়ে বিউলফ নামে একটা মুভি/এনিমেশন ফিল্ম আছে অনেকে হয়ত দেখে থাকবেন )
গ্রেন্ডেল রাক্ষস ,সে হ্রোথগারের রাজ্যে হানা দিয়ে লোক খায় । তাকে বাধা দেবার কেউ নাই। বিউলফ এগিয়ে এল এবং তুমুল যুদ্ধের পর রাক্ষস নিহত হল ।রাক্ষসের মা প্রতিশোধ গ্রহন করতে এগিয়ে এল ।বিউলফের সাথে তুমুল যুদ্ধ হুল ।
ছবিগুলো সংগ্রহীত
- পরবর্তী অংশ দ্বিতীয় পোস্টে দেখুন→
No comments