Bhuter Baccha Sapufo
![]() | |
লেখকঃ- বদরুল মিল্লাত |
লেখক:বদরুল মিল্লাত
জিনিয়াস পাবলিকেশন
পৃষ্ঠা সংখ্যা:৭৮
প্রচ্ছদ :ধ্রুব এষ
![]() |
রিভিউটি লিখেছেন |
রিভিউঃ-
ছোট থেকেই ভূতের গল্প ভাল লা
সারকাহিনি: ভূতের রাজ্যে সবার মন খারাপ।কিছু একটা হয়েছে রাজা রানীর অনেক চিন্তায়।তাদের পুত্র সন্তান হয়েছে কিন্তু একদম মানুষ এর মত দেখতে। খুব বীশ্রী দেখতে।চোখগুলা ছোট ছোট । দুধের মত গায়ের রং। গোলকার মাথা। এ কেমন দেখতে। ছি...সবাই অনেক চিন্তায়। মহারাজ সভা বসালেন এবং সবার মতামত আশা করলেন। এক এক জন এর রকমারি বুদ্ধি। ভূতেদের ভেতর যে সবথেকে বিজ্ঞ তার পরামর্শ ছিল, সে যেহেতু মানুষ এর মত দেখতে তাকে মানুষদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হোক। প্রথমে রাজা রানী আপত্তি জানালেও পরবর্তীতে তারাও এটাই ঠিক ভাবে এবং সাইলাস কে দিয়ে তালে লোকালয়ে রেখে আসেন। একটি সুন্দর পরিবার তাকে পার্কে খুঁজে পায়।আশেপাশে কাউকে দেখলনা,হয়ত কেউ ইচ্ছা করে ফেলে রেখে গেছে। তারা তাঁকে তাদের বাসায় নিয়ে যায়। তিন মাসের ছেলেকে বসে থাকতে দেখে, কথা বলে দেখে অবাক রাশেদ আর শারিকা। তাঁর আচরণ ছিল ভিন্ন। পরে তারা জানতে পারে সে ভূত। নাম তার সাপুফো। রাশেদ, শারিকা অনেক চিন্তিত হয়ে পরলেও তারা বুঝে গেছে সাপুফো ভদ্র ধরনের ভূত। তাদের মেয়ে ইউশীর সাথে সাপুফো টিভি দেখছিল তখন তাকে তারা কথা বলার জন্য নিয়ে যায়। এখন থেকে সাপুফো তাদের সন্তান হয়ে থাকবে।এবং মানুষ এর মতই তাকে থাকতে হবে। এইভাবে রুলস দেওয়া হল তাকে । আজ থেকে রাশেদ,শারিকা তার বাবা, মা। মাম্মি, পাপা বলে দাকতে হবে তাদের। ইউশী তার বোন। ভূতেরা খায় নাহ ঘুমাইও নাহ। কিন্তু তাকে খেতে হবে ঘুমাতেও।তার নতুন নাম শাফিন আহম্মেদ,শাফি।সে মাথা নাড়ল এবং বুঝাতে চাইল রাজি। কিন্তু কিছু আপত্তি ছিল মনে মনে প্রকাশ করল নাহ।এ কেমন নাম। শারিকা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিল।আদর ভালবাসা পেয়ে তার চোখে পানি আসল। ভূতেরা কাদেঁ নাহ। কিন্তু সে তো ভূত জাতির কলঙক।দেখতে খারাপ তাই আজ সে এইজায়গায়। দেখতে দেখতে দুবছর হয়ে গেল। শাফি আর ইউশীর মধ্যে অনেক ভাব। অনেক মিল,ভালভাসা। মাম্মি, পাপা অনেক আদর করে তাঁদের।স্নেহ,মমতা তাকে মানুষ এর মাঝে বাঁচতে শেখায়। স্কুলে ভর্তি হয় শাফি ইউশা। প্রথম ক্লাস ছিল দারুন।ক্লাস মিস এ,বি,সি,ডি শেখাচ্ছিল কিন্তু শাফি অন্যদের মত বুঝছিল নাহ। তারপর সে মিস এর চোখ এর দিকে তাকিয়ে সব বলে ফেলল।এ,বি,সি... ঠিক যেভাবে মাম্মির চোখের দিকে তাকিয়ে বাংলা ভাষা রপ্ত করেছিল। স্কুল অনেক ভাল লাগল তার। কত খুশি সে। মাম্মি,পাপা কত ভালবাসে তাঁকে। কিন্তু তবুও তার আসল মার কথা মনে পরে ।। এইদিকে তাঁর মা ও সাইলাস কে দিয়ে তাঁর খবর নেবার জন্য পাঠায়। সাইলাস দেখল সে একদম মানুষ এর মতই আচরণ করছে। শাফি ও বলল সে অনেক আনন্দতে আছে।অনেক ভালবাসা পায় সে। কিন্তু সে একদিন তার মার সাথে অবশ্যই দেখা করতে যাবে। সাইলাস এইসব শুনে বেশ অবাক হল। এসব শুনে রানী মা তার গরদান নাহ কাটে। পরে একদিন শাফি মাম্মি, পাপা ও আদরের বোনকে নিয়ে ভূতের রাজ্যে যায়।সাইলেস এর সাথে দেখা হলে শাফি বলে যদি তার মাম্মি, পাপা কে সম্মান দেয়া হয় তাহলেই সে ভেতরে যাবে নাহলে নাহ। শাফির আসল বাবা,মা মানুষ এর মত রুপ নিয়ে শারিকা,রাশেদ এর সামনে আসে।অনেক সম্মান, মর্যাদা পাই তারা। ভালবাসা এ শ্রেষঠ সম্পদ।সাতদিন পর ফিরে আসে নিজ দেশে এবং সুখে শান্তিতে বসবাস করে তারা।
এই বইটির রিভিউটি ইচ্ছে করলে এখান থেকে দেখে নিতে পারেন→
আরো ভিডিওর জন্য আমাদের মেনুবার থেকে Audio Center থেকে দেখে নিতে পারেন।
No comments