Narak Nondini
বই রিভিউ
বই : নরক নন্দিনী
লেখক : Paritosh Barai
প্রকাশনা : অনন্যা
প্রচ্ছদ : মশিউর রহমান
প্রকাশ কাল : ফেব্রুয়ারি ২০১৬
পৃষ্ঠা : ৯৬
রিভিউটি লিখেছেনঃ- হাসান ইমরান।
ফ্ল্যাপ থেকে : একটা মেয়ে.... মুখ দেখে তার আসল পরিচয় জানার উপায় নেই। জনার চেষ্টাও করা হয়নি। যখন পরিচয় পাওয়া গেল তখন অজানা থেকে গেল আরো অনেক কিছু...
মেয়েটি নিজেকে বেশ্যা বলে পরিচয় দিয়েছে। পরিচয়ের গভীরে গিয়ে পেলাম আরও অজানা তথ্য।
বইয়ের প্রতি পাতায় পাতায় পাওয়া যাবে মেয়েটির নতুন পরিচয়।
নিজের কথা : লেখক একদিন ট্রেনে চিটাগাং থেকে আসছিলেন। উনার সামনেই একজন মেয়ে বসেছিল। তার এমনিই রুপ সবাই এক নজর না দেখে পার পাচ্ছিল না। চেহারা দেখে মনে হয় একেবারেই স্বাভাবিক, বুঝা যায় না তার মাঝে লুকিয়ে আছে অস্বাভাবিকত্ব।
মেয়েটি জানতে পারে তার সামনে বসা লোকটি লেখক। ঢাকায় নামার সময় মেয়েটির সিটে একটি ডায়েরী পান লেখক । নোটে লেখা
' লেখক সাহেব,
আমি একজন নরকের মেয়ে। সম্ভব হলে আমার ডায়েরীতে লেখা আমার জীবনী দিয়ে একটা উপন্যাস লিখবেন।
পাঠ প্রতিক্রিয়া : লেখকের এই বাস্তব ধর্মী উপন্যাসটা বড় দুঃখের। সমাজে এমন ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে। মনে হয় না এর থেকে আমরা পরিত্রাণ পাব। হাজার বছরেও যে সমাজ পাল্টায়নি সে সমাজে আরও ভালো কিছু আশা করা বৃথা।
পরিতোষ বাড়ৈ এর লেখা নিয়ে কী বলব! তাঁর লেখার সৌন্দর্য্যের বর্ণনা যে কিভাবে দিই তা কলমে আসছে না! তাঁর লেখনীর মাধুর্যতার বর্ণনা যে কিভাবে প্রকাশ করবো মুখের ভাষা পাচ্ছি না। শব্দ নিয়ে, পাঠকের মনে দোলাচল সৃষ্টি করে, পাঠককে নাকানিচোবানি খাইয়েছেন যেমন জহির রায়হান, শাহাদুজ্জামান, হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবার, হুমায়ুন আজাদ , তিনিও পেরেছেন তাদের মত পাঠকের মনকে কাহিনীর সাথে মিশিয়ে দিতে!
এরকম একটা বই না পড়ে থাকা যায় কিভাবে! নরক নন্দিনীর দুঃখী জীবন জানার জন্য তাই সবাইকে পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
আর লেখকের জন্য রইল অনেক অনেক শুভ কামনা, সামনে আরোও আমাদের প্রাঞ্জল হাতের লেখা উপহার দিন।
বই : নরক নন্দিনী
লেখক : Paritosh Barai
প্রকাশনা : অনন্যা
প্রচ্ছদ : মশিউর রহমান
প্রকাশ কাল : ফেব্রুয়ারি ২০১৬
পৃষ্ঠা : ৯৬
রিভিউটি লিখেছেনঃ- হাসান ইমরান।
ফ্ল্যাপ থেকে : একটা মেয়ে.... মুখ দেখে তার আসল পরিচয় জানার উপায় নেই। জনার চেষ্টাও করা হয়নি। যখন পরিচয় পাওয়া গেল তখন অজানা থেকে গেল আরো অনেক কিছু...
মেয়েটি নিজেকে বেশ্যা বলে পরিচয় দিয়েছে। পরিচয়ের গভীরে গিয়ে পেলাম আরও অজানা তথ্য।
বইয়ের প্রতি পাতায় পাতায় পাওয়া যাবে মেয়েটির নতুন পরিচয়।
নিজের কথা : লেখক একদিন ট্রেনে চিটাগাং থেকে আসছিলেন। উনার সামনেই একজন মেয়ে বসেছিল। তার এমনিই রুপ সবাই এক নজর না দেখে পার পাচ্ছিল না। চেহারা দেখে মনে হয় একেবারেই স্বাভাবিক, বুঝা যায় না তার মাঝে লুকিয়ে আছে অস্বাভাবিকত্ব।
মেয়েটি জানতে পারে তার সামনে বসা লোকটি লেখক। ঢাকায় নামার সময় মেয়েটির সিটে একটি ডায়েরী পান লেখক । নোটে লেখা
' লেখক সাহেব,
আমি একজন নরকের মেয়ে। সম্ভব হলে আমার ডায়েরীতে লেখা আমার জীবনী দিয়ে একটা উপন্যাস লিখবেন।
পাঠ প্রতিক্রিয়া : লেখকের এই বাস্তব ধর্মী উপন্যাসটা বড় দুঃখের। সমাজে এমন ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে। মনে হয় না এর থেকে আমরা পরিত্রাণ পাব। হাজার বছরেও যে সমাজ পাল্টায়নি সে সমাজে আরও ভালো কিছু আশা করা বৃথা।
পরিতোষ বাড়ৈ এর লেখা নিয়ে কী বলব! তাঁর লেখার সৌন্দর্য্যের বর্ণনা যে কিভাবে দিই তা কলমে আসছে না! তাঁর লেখনীর মাধুর্যতার বর্ণনা যে কিভাবে প্রকাশ করবো মুখের ভাষা পাচ্ছি না। শব্দ নিয়ে, পাঠকের মনে দোলাচল সৃষ্টি করে, পাঠককে নাকানিচোবানি খাইয়েছেন যেমন জহির রায়হান, শাহাদুজ্জামান, হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবার, হুমায়ুন আজাদ , তিনিও পেরেছেন তাদের মত পাঠকের মনকে কাহিনীর সাথে মিশিয়ে দিতে!
এরকম একটা বই না পড়ে থাকা যায় কিভাবে! নরক নন্দিনীর দুঃখী জীবন জানার জন্য তাই সবাইকে পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
আর লেখকের জন্য রইল অনেক অনেক শুভ কামনা, সামনে আরোও আমাদের প্রাঞ্জল হাতের লেখা উপহার দিন।
No comments