স্কারলেট

বইয়ের নাম: 'স্কারলেট'
লেখকের নাম : নাজিম উদ দৌলা
প্রকাশনীর নাম: 'অাদী প্রকাশন'
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৫৮
মলাট মূল্য : ২৩০
বইটির রিভিউ লেখকঃ- বিশ্বজিৎ বড়ুয়া
স্কারলেট বইটির পিডিএফ
মূল বক্তব্য :
ড.অাইভান মেন্ডেসের প্রতিষ্ঠানের একটা যুগান্তকারী অাবিষ্কার, ডিএল মেথড! "ডিএল মানে হচ্ছে ডাবল লংজিভিটি।এই প্রক্রিয়ায় একজন মানুষের স্বাভাবিক অায়ু প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে! অর্থাৎ, যদি কোনো নির্দিষ্ট ভৌগলিক অবস্থানে একজন মানুষের স্বাভাবিক অায়ু হয় ৬০ বছর,অামাদের ডিএল মেথড এপ্লাই করারর পর তার অায়ু হবে ১২০ বছর!"
অাইভান মেন্ডেস এতটুকু বলার পর দর্শকদের মাঝে উত্তেজনা বেড়ে গেল। নিজেদের মধ্যে উচ্ছ্বাস মুলক শব্দের অাদান-প্রদান শুরু হলো: ওয়াও! মাইন্ড ব্লোয়িং!
এক্সিলেন্ট! অানবিলিভেবল!
ইনক্রেপিবল! ইত্যাদি
.
"এই প্রক্রিয়াটি অন্যদের গবেষনার মতো জটিল নয়,খুবই সহজ।তবে সবার শরীরে এর প্রয়োগ করা চলবে না।শুধুমাত্র নবজাতক মানব শরীরে ডিএল মেথড প্রয়োগ করা যাবে। নবজাতকের শরীরে ছোট্ট একটা অস্ত্রোপচার করলে শিশুটির স্বাভাবিক অায়ু দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তার কিডনি,ফুসফুস,হার্ট,ব্রেইনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অর্গান দ্বিগুণ কার্যক্ষমতা লাভ করবে,একই সাথে এইসব অর্গান সুস্থও থাকবে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি সময়।শুধু তাই নয়। যেমন ধরুন,একজন স্বাভাবিক মানুষের চুল পাকতে থাকে পঁয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছরের দিকে।কিন্তু ডিএল মেথড ব্যবহার করা হলে চুল পাকতে শুরু করবে ৭০ থেকে ৮০ বছর পর হওয়ার পর। ক্যান ইউ বিলিভ ইট?"
অাবার উপস্থিত লোকজনের মধ্যে শোরগোল শুরু হলো।সবাই চমকে গেছে বিজ্ঞানী মেন্ডেসের কথা শুনে! এমন তাজ্জব অাবিষ্কার সম্ভব হয়েছে, তা কোরোই বিশ্বাস হচ্ছে না! সবাই বলাবলি করছে যে ব্যাপারটা অাসলে কতটুকু গ্রহণযোগ্য।
.
এইদিকে একদল চাইনিজ ফ্যানাটিক উঠে পড়ে লেগেছে ড.অাইভান মেন্ডেসের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। হামলা করা হচ্ছে গবেষণাকেন্দ্রে, কিডন্যাপ করা হচ্ছে বিজ্ঞানীদের। বিজ্ঞানী ব্যতীত কোন সাধারণ মানুষের ক্ষতি করা দলটির উদ্দেশ্য নয়। দুই হাজার বছর অাগে জন্ম হয়েছিল গাইসি দে জৌচির! সৃষ্টির শুরু থেকে পৃথিবীকে প্রকৃতির অভিশাপ থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যারা সমস্ত কাজ কর্ম গোপনেই সম্পাদিত করে।
"বর্তমান সময়ের বিজ্ঞানীরা যান্ত্রিক অাবিষ্কার ছেড়ে মন দিয়েছে মানুষের শরীর নিয়ে গবেষণায়! এর ফলে তারা মানুষের অায় বৃদ্ধি, বয়স না বাড়ার উপায়-এইসব নিয়ে গবেষণায় মন দিয়েছে। তারা যদি সফল হয়, তাহলে গোটা মানব জাতির উপর নেমে অাসবে অভিশাপ! কয়েকজন নরাধমের কুকর্মের ফল সবাই কেন ভোগ করবে?"
.
কিন ডাইনেস্টির প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট কিন সি হুয়াং মৃত্যুভয়ে ভীত হয়ে পড়েছেন। জাদুকর অাংকি সেং তাকে এলিক্সার অফ লাইফের সন্ধান দিল যা পান করলে মানুষ হয় অমর। সম্রাট তার বিশ্বাসভাজন রসায়নবিদ জু ফু'র নেতৃত্বে প্রায় প্রতিবারই বর্থ হয়ে ফিরে অাসায় তীরন্দাজ সহ অসংখ্যা দম্পতি নিয়ে একটি দলকে পাঠালেন সেই এলিক্সারের সন্ধানে। কিন্তু বছরের পর বছর চলে গেল, তারা অার ফিরে এল না। জু ফু অসংখ্য বিবাহিত-অবিবাহিত নারীদের ধরে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করতো। সম্ভ্রম হারাত বহু নারী! বাদ যায়নি ভ্রাতুষ্পুত্র হানের স্ত্রী মিংঝুও! মিংঝুর দেহকে ব্যবহার করেছে জু ফু! অপবিত্র করা হয়েছে মিংঝুর দেহকে......
.
.
লোভের মোহে মিংঝুকে একা রেখে অমরত্ব লাভের অাশায় 'হান' যাত্রা করেছিল পেংলাই পাহাড়ে! জাদুকর অাংকি সেং এর কাছ থেকে ছিনিয়ে অানলো এলিক্সার। জিয়ানদান নিয়ে অকুসিরি দ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার সময় ভালোবাসার মিংঝুকে বাঁচানো যায়নি তীরন্দাজদের বিষাক্ত তীর থেকে!
.
"এই যে দেখ মিংঝু! এই সেই জিয়ানদান।এটা পান করলে তুমি মরবে না, কিচ্ছু হবে না তোমার।"
.
"মিংঝুউউউ........"
হানের কোলে মাথা রেখে ভালোবাসার মিংঝু শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেছে! লোভের কাছে মৃত্যু হয়েছে ভালোবাসার!
.
সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জড়িয়ে অাছে একটি মেয়ের অস্তিত্বের সাথে। মেয়েটির নাম 'স্কারলেট',খুব সাদাসিধে এক তরুণী যে নিজের অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছে একজন অভিশপ্ত মানুষকে। ড.অাইভান মেন্ডিসের বডিগার্ড 'রেন্ডি'কে!
No comments